নোয়াখালীতে দরজা ভেঙে অস্ত্র ঠেকিয়ে ৫ জন মিলে ২ বোনকে ধর্ষণ করল মেম্বার

এই ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নে । জাহাজমারা ইউনিয়নে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইউপি মেম্বার বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা ভেঙে বড় বোনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই বোনকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা দায়ের করে। এই মামলায় শনিবার (২১ জুলাই) রাতে জাহাজমারা ইউপি মেম্বার বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জানা গেছে, বেলাল হোসেন ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাহাজমারা ইউপি মেম্বার বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে শুক্রবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ওই ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের আজীমনগর এলাকায় যান।

দুর্বৃত্তরা এখানেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা নির্যাতিতাদের বড় বোনকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় তাদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার জানান, এ ঘটনায় দুই তরুণীকে উদ্ধার করে তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভিকটিমদের বড় বোন বাদী হয়ে ইউপি মেম্বার বেলাল হোসেনকে প্রধান আসামি করে আরও ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। পরে গত শনিবার রাতে বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। আজ রবিবার (২২ জুলাই) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরেক ঘটনায় নোয়াখালিতে সুধারাম উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তোফায়েলের ছেলে গ্রেপ্তার হন সুমন।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের গোরাপুর গ্রামে এ ঘটনার পর রাতেই সে আটক হলেও তার সহযোগীদের ধরা যায়নি বলে সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে দুই বোনের মধ্যে বড়জন তার ‘প্রেমিক’ সুমনসহ ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।বাকি আসামিরা হল- একই গ্রামের সুজন, জাবেদ, রনি, লুতু, মামুন, শাকিল, রাশেদ, আকবর, রিয়াজ ও হেলাল।